খাবার সরবরাহেও ধর্মের আঁচ : বিবাদে খাবার সরবরাহ করি সংস্থা জোমাতোর কর্মী বিক্ষোভ
গরুর মাংস এবং শুয়োরের মাংসের পণ্য সরবরাহের জোমাতো কর্মি দের বিক্ষোভ। এই নিয়ে উত্তাল প্রশাসন থেকে জোমাটো কর্মকর্তা

গরুর মাংস এবং শুয়োরের মাংসের পণ্য সরবরাহের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায় বেশ কয়েকটি জোমাটো বিতরণকারী কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রতিবাদ সম্প্রতি জাতীয় শিরোনাম এসেছে। খাদ্য বিতরণ অ্যাপের চালকরা দাবী করেন যে এটি করা ‘তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে’।

বিষয়টি হালকা ভাবে দেখা হলেও এই প্রতিবাদের পিছনে রাজনৈতিক রঙকে যুক্ত হয়েছে এবং কিছু স্পষ্টত বিভেদ প্রকাশিত হয়েছে, এই প্রতিবাদ আয়োজনে বিজেপির সহযোগী সংগঠনগুলি।
বিক্ষোভকারীরা স্বীকার করেছেন যে জোমাটো’র “খাদ্যের কোনও ধর্ম নেই” টুইটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে হরতাল। অভিযোগ স্থানীয় বিজেপি নেতা এবং জুমাটো বিতরণকারী আধিকারিকদের মধ্যে বিক্ষোভের অংশ হিসাবে উত্তর হাওড়ার পক্ষে দলের সেক্রেটারি কুমার শুক্লার এ কথা স্বীকার করার কোনও অবকাশ নেই, “এই প্রতিবাদ জোমাতোর টুইটের প্রতিক্রিয়া।”
জোমাতোর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও দীপিন্দর গোয়াল তার কর্মীদের একটি ইমেইলে দৃঢ় ভাবে বলেছেন যে হাওড়ায় এই বিক্ষোভের “খাদ্য বা ধর্ম বা বিশ্বাসের সাথে কোন সম্পর্ক নেই” এবং এটি ধর্ম ও ব্যক্তিগত স্বার্থে বিভ্ৰান্তি ছড়াচ্ছে ও বেকার ছেলেদের বিকল্প জীবিকার সুযোক থেকে বঞ্চিত করা । খাবারের পছন্দগুলি করেন ক্রেতারা সেই অনুযায়ী সরবরাহ করা হয়। এতে কোম্পানির কোন হাত নেই।
হাওড়ার ওড়িয়াপাড়া-তে বিশাল জয়সওয়াল নামে এক তরুণ বিজেপি কর্মীর বাড়ির ভিতরে বসে ছিলেন – যিনি স্থানীয় বিজেপি অফিস হিসাবে কর্মরত তার কাছাকাছি একটি ছোট্ট জায়গারও মালিক – এই প্রতিবেদক ৩৪ বছর বয়সী সঞ্জীব কুমার শুক্লার সাথে দেখা করেছিলেন।স্থানীয়রা শুক্লা এবং বজরং নাথ ভার্মা নামে এক ব্যক্তিকে জোমাটো হরতালের পিছনে পরিকল্পনা।সম্ভবত এই দোকানের মালিক ও বিজেপি নেতার কারসাজিতে এই ঘটনায় হাওড়া সহ শহর বাসি ক্ষুব্ধ।
হাওড়ার বিজেপি নেতা ও ওই স্থানীয় ব্যবসায়ীর উস্কানিতে বিপণনকারীর হরতাল শুরু হলেও মাঝ পথে থেমে যায়, কারণ কর্তি পক্ষের হর্থক্ষেপে বিবাদ আপাতত মিটেগেলেও সতর্ক প্রশাসন। সঞ্জীব কুমার শুক্লা উত্তর হাওড়ার বিজেপি সেক্রেটারি হিসাবে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং তারপরে ভার্মাকে তাঁর ফোনে কল করতে এগিয়ে যান।এর পরে তিনি এড়িয়ে যান কথা বলতে চাননি। তবে বিজেপি রাজ্য নেতারা এই নেতা কে অনেকেই চেনেন না বলেন , আর এই ঘটনা কে সমর্থন করেন না বলেন জানান।