বন্দুকবাজদের নিশানায়, স্কুলের ছাত্ররা ! কি করছে পুলিশ প্রশাসন ?
ক্রমাগত বেড়েই চলেছে, বন্দুকবাজদের রমরমা।দমছেন না তারা। এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে অপরাধীরা।

@ দেবশ্রী : পর পর দুই সপ্তাহ ধরে চলে, বন্দুকবাজদের হানা, একের পর এক স্কুলে গুলি চালনার ঘটনায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে আমেরিকায়। পর পর দুটি বন্দুকবাজদের হানার শিকার হয়, বেশ কয়েকজন খুদে পড়ুয়ারা। বেঘোরে তারা প্রাণ হারায়। এবারেও বন্দুকবাজদের নিশানা হল, সেই শিশুরাই। গত শনিবার, দুই বালকের মৃতদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ। এক জনের বয়স ১১, আর অন্য জনের ১৪। সান ফ্রান্সিসকোর কাছে সৈকত এলাকায় ‘ইউনিয়ন সিটি’র একটি প্রাথমিক স্কুলের পার্কিং লটে ভ্যানের ভিতর থেকে রক্তাক্ত শরীরে গুলির ক্ষত, এই ভাবেই উদ্ধার করা হয় দুই বালককে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় একটা প্রাণ। হাসপাতালে অন্য জনকে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
শনিবার রাত দেড়টা নাগাদ ঘুমে আচ্ছন্ন বাসিন্দারা। হঠাত্ই পরপর একটানা গুলির আওয়াজে কেঁপে ওঠে চারপাশ। গুলির শব্দ পেয়েই ৯১১ (আপত্কালীন ফোন নম্বর)-এ ফোন করতে থাকেন আতঙ্কিত স্থানীয় লোকজন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। পুলিশ এসে স্কুলের পার্কিং লটে ভ্যানটির মধ্যে ছেলে দু’টিকে উদ্ধার করে। এলাকার এক বাসিন্দা জানান, হটাৎ গুলির আওয়াজেই ঘুম ভেঙে যায়। একটানা হতে থাকে গুলির আওয়াজ। শব্দ শুনে মনে হয়েছিম, মেশিনগান চলছিল। মহিলা যখন দুই বালকের মৃত্যুর কথা শোনে তখন ভয়ে আঁতকে ওঠেন।
অত রাতের বেলা ওই দুইজন বালক পার্কিং লটে কী করছিল সে বিষয়ে পুলিশ এখনও সন্দিহান। ছেলে দু’টি ওই ভ্যানের মধ্যে কী করছিল, তাদের সঙ্গে কোনও বড় কেউ ছিল কি না, থাকলে তিনি কোথায় গেলেন। একের পর এক এমন বহু প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থের জন্যই দুই বালকের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। অন্যদিকে অপরাধী কারা, তারা পায়ে হেঁটে এসেছিল নাকি গাড়িতে, এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সূত্রের সন্ধান করছে পুলিশ।
মূল সান ফ্রান্সিসকো শহর থেকে আধ ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত এই ‘ইউনিয়ন সিটি’। আনুমানিক প্রায় ৭৫ হাজার লোকের বাস এই শহরে। জায়গাটি বেশ শান্তিপূর্ণ বলেই জানা গিয়েছে।
‘দ্য নিউ হ্যাভেন ইউনিফায়েড স্কুল ডিসট্রিক্ট’-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিহত এক বালক তাদের স্কুলের পড়ুয়া। বয়সে বড় জন আগে ওই স্কুলে পড়ত। স্কুল ডিসটিক্ট্রের সুপারিন্টেনডেন্ট জন টমসন জানিয়েছেন, স্কুলের সব পড়ুয়া ও কর্মীদের পাশে রয়েছেন তাঁরা। তদন্তে সব রকম ভাবে সাহায্য করছেন শহরের পুলিশকে।
কিন্তু বারবার এমন ঘটনা ঘটছে, তারই তদন্ত চালাচ্ছে এখন পুলিশ।