চাকরির নামে করা হত প্রতারণা, তবে শেষ হয় লুকোচুরি, দিল্লির হোটেলে গ্রেফতার অভিযুক্ত।
ভুঁয়ো বিমান সংস্থার নাম নিয়ে দেওয়া হাত চাকরির আশ্বাস, নেওয়া হত লক্ষ লক্ষ টাকা। আর এভাবেই বাড়ছিল প্রতারনার সংখ্যা।
@ দেবশ্রী : আজকের দিনে একেই একটা চাকরি পাওয়া খুব মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার উপরে এখন আবার অনেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে, লোকজনের থেকে টাকা আদায় করছে। করছে সাধারণ মানুষদের সাথে প্রতারণা। আর আবারও একজনকে চাকরি দেওয়ার নামে করা হল প্রতারণা। ভুয়ো বিমান সংস্থায় চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল দিল্লি পুলিশ। ধৃতের নাম সঙ্কেত ঝা। মুম্বইয়ের বাসিন্দা সঙ্কেতকে জেরা শুরু করেছে পুলিশ।
সূত্রের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, তদন্তে জানা গেছে ইয়ো এয়ার নামক এক ভুঁয়ো বিমান সংস্থার নাম করে প্রতারণা শুরু করেছিল সঙ্কেত। রাজধানীর মেট্রোপলিটন হোটেলে সঙ্কেতের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েছিল প্রতারিত এক চাকরি প্রার্থী। এরপর এই খবর যায় মন্দির মার্গ থানায়। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। নয়ডার বাসিন্দা অভিযোগকারিণী শিপ্রা সিং দিল্লি পুলিশকে জানান ইনস্টাগ্রামে ইয়ো এয়ার সংস্থায় কেবিন ক্রু পদের জন্য একটি বিজ্ঞাপন দেখেই তিনি দিল্লি এসেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, স্ক্রিনিংয়ে পাস করার পরেই ওই ভুয়ো সংস্থার তরফ থেকে তাঁকে মেল করা হয়েছিল। এবং ইন্টারভিউয়ের জন্য দিল্লির বাংলা সাহিব গুরদোয়ারার কাছে তাকে একটি হোটেলে আসার জন্যে বলা হয়েছিল।
এরপর ওই চাকুরী প্রার্থী যখন ওই হোটেলে ইন্টারভিউ দিতে আসেন তখন তিনি জানতে পারেন, তাঁকে অগ্রিম ২ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার ডিমান্ড ড্রাফট কেটে জমা দিতে হবে সংস্থার নামে। এরপরই মনে সন্দেহের দানা জমে ওই মহিলার। তিনি জানতে পারেন থাইল্যান্ডে এরকম কোনও বিমান সংস্থা নেই। এছাড়া জানা গেছে অন্তত ২৫০ জন ইন্টারভিউয়ের জন্য ওই হোটেলে এসেছিলেন। প্রতারিতদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েই সঙ্কেত ঝা-কে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। বর্তমানে তাঁকে জেরা করা হচ্ছে। অর্থাৎ চাকরি দেওয়ার নাম করে চলত টাকার খেলা, মানুষকে করা হত প্রতারণা।