চুরি যাচ্ছে সব সরকারি নথিপত্র, তা রুখতে নতুন ম্যাসেজিং অ্যাপ এর পরিকল্পনায় কেন্দ্রীয় সরকার।
কোনো কিছুই আজ আর সুরক্ষিত নয়, চারিদিকে হচ্ছে হ্যাকিং, তা থেকে ভারতকে রাখা করতে কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া পদক্ষেপ।
@ দেবশ্রী : বর্তমানের দুনিয়ায় মানুষ এখন ইন্টারনেটেই ব্যস্ত। আজকাল আর বন্ধুরা আড্ডা দিতে বের হয় না, বা কোনো কথা বলার জন্যও মানুষ ইন্টারনেটের ভরসায় থাকে। আর এখন যেন মানুষ আরও বেশি করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ডুবে থাকে। আর এই সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় হোয়াটস অ্যাপ। আর এখন মানুষ বেশির ভাগ কথা বলার ক্ষেত্রে এই ম্যাসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন। আর এটি মার্কিন বাণিজ্যের অন্যতম যুগান্তকারী সংস্থা হোয়াটস অ্যাপ। তবে এবারে এই হোয়াটস অ্যাপ এর মাঝেই নিজস্ব এক চ্যাটিং সাইটের পরিকল্পনায় এগিয়ে চলছে ভারত।
তবে এই অ্যাপ দুনিয়ার সর্বত্র ব্যবহার হয়। খুব কম মানুষই বোধ হয় আছেন যারা এই অ্যাপ ব্যবহার করেন না। আর এই হোয়াটস অ্যাপের মতো চ্যাটিং সাইট বহু ক্ষেত্রেই দফতরের কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। সেক্ষেত্রে নথি চুরির একটি সম্ভাবনা থেকে যায়। এক্ষেত্রে সাম্প্রতিককালে অ্যামাজন প্রধানের ফোন হ্যাকের মামলাও প্রকাশ্যে আসে। আর এবার সেই তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রাখতেই ভারত সরকার এই নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছে। যাতে কোনোরকম হ্যাকিং না হয়, এবং নিরাপত্তা বজায় থাকে সবার ফোনে। আর তাই এবার ভারত নিজের জন্য তৈরি করতে চলেছে ‘গভরমেন্ট ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং সার্ভিস’। জানা গেছে এই বছরেই শুরু হতে চলেছে এই প্রকল্প। আর ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে এর পাইলট প্রজেক্ট।
তবে এই জিআইএমএস শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারিদের জন্যই নয়, রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্যও এই নয়া চ্যাট প্ল্যাটফর্ম শুরু হতে চলেছে। এই জিআইএমএস একটি ‘ইউনিফায়েড মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম’। যা তৈরি করেছে ‘ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার’। এই সংস্থাই সরকারী দফতরের জন্য ইমেল সার্ভিস তৈরি করে।
জানা গেছে, একাধিক ভাষায় এই অ্যাপে কথাবার্তা হতে পারে। মোট ১১ টি স্থানীয় ভাষা এই অ্যাপে চালু থাকবে। সঙ্গে থাকবে হিন্দি ও ইংরেজি। হোয়াটস অ্যাপএর মাধ্যমে তথ্য চুরি রুখতেই ভারত সরকারের এমন পদক্ষেপ বলে জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, ওড়িশা ও গুজরাতও এর বেটা টেস্টিং এ অংশ নিচ্ছে। তাই আশা করা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই যেন এই ব্যবস্থা চালু হয় ভারতে। এবং চুরি না হয় কোনোরকম তথ্য।