Industry & Tread

বিমান শিল্পে বিপুল ক্ষতি, চতুর্থ দফায় লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি সাথেই বিমান পরিষেবাও বন্ধ ৩১ মে পর্যন্ত

বিমান, মেট্রো পরিষেবা, মল, জিম সেন্টার, বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি রাখা হয়েছে

প্রেরনা দত্তঃ করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতে ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, নতুন রূপে আসবে চতুর্থদফার লকডাউন। এই মেয়াদে আন্তঃরাজ্য চলাচলে অনুমতি দেওয়া হয়েছে., চলবে আন্তঃরাজ্য বাস, গণপরিবহন ব্যবস্থা। তবে বিমান, মেট্রো পরিষেবা, মল, জিম সেন্টার, বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি রাখা হয়েছে। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বন্ধ থাকবে শপিং মল, সিনেমা হল, ও রেস্তরাঁও।
দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা চালু না হলেও বন্দে ভারত মিশনের অধীনে বিদেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফেরানো এবং কার্গো বিমান পরিষেবা চালু থাকবে।

এ ছাড়াও, বিদেশ থেকে আসা ভারতীয়দের অন্য শহরে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে বিমানগুলি চলার কথা, তা আগের মতোই চলবে। প্রসঙ্গত, বন্দে ভারত মিশনের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করে দ্বিতীয় পর্যায়ের কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে বিশ্বের ১২টি দেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফিরিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। প্রথম সাত দিনে যাঁদের ফেরানো হয়েছে, তাঁদের সিংহভাগই কেরল, তামিলনাড়ু এবং দিল্লির বাসিন্দা। এই তিন রাজ্যে মোট ৩৭টি ফ্লাইট ঢুকেছিল। দ্বিতীয় ধাপে ১৪৯টি ফ্লাইট আসবে। কলকাতা বিমানবন্দরে আগামিকাল, সোমবার এই প্রকল্পে ঢাকায় আটকে থাকা ১৬৯ জন ফিরবেন।

এ দিন রাত ৯ টায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করার কথা ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবার। এ দিনই ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করে দেয় মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব ও তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলি। দেশ জুড়েই করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। রবিবারই সারা দেশে করোনা সংক্রমণ ৯০ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন চার হাজার ৯৮৭ জন, যা রেকর্ড। সংক্রমণের হারের দিকে তাকিয়েই চতুর্থ দফায় লকডাউনের মেয়াদ আরও ১৪ দিন বাড়ল।

কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক সূত্রে খবর, এর আগে প্রাথমিক ভাবে কথা হয়েছিল, দেশের অন্তত কয়েকটি শহরের মধ্যে প্রথম ধাপে বিমান পরিষেবা দেওয়ার কাজ ১৮ মে থেকে শুরু করা হবে। সেই তালিকায় দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, কলকাতা ছাড়াও বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদও ছিল। সেই অনুযায়ী বিমানবন্দরগুলি ঢেলে সাজার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যে ভাবে কোভিড সংক্রমণ বেড়েই চলেছে, তাতে এগিয়েও পিছোতে হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে।

কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম, কিছু শহরের মধ্যে অন্তত বিমান পরিষেবা চালু করার। তাতে বিমান শিল্পে যে বিপুল ক্ষতি হচ্ছে, কয়েকটি রুটে পরিষেবা চালু হলে তা কিছুটা পরিমাণ কমানো সম্ভব হত।”

Show More

OpinionTimes

Bangla news online portal.

Related Articles

Back to top button

Discover more from Opinion Times - Bengali News

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading