শুধুমাত্র বেসরকারি স্কুল নয়, একাধিক সিবিএসসি স্কুলও বৃদ্ধি করছে ফি

পল্লবী কুন্ডু : বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি কি সত্যিই শিশুদের শিক্ষার আলোর পথে আনার জন্য এই প্রতিষ্ঠান গুলি খুলেছে নাকি শুধুমাত্র ব্যবসায়িক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ? এতটা অমানবিক কিভাবে হতে পারে তারা ? এই সমস্ত প্রশ্ন উঠে আসছে অভিভাবক মহল থেকে।বেসরকারি স্কুল গুলির ফি বৃদ্ধি নিয়ে সরব হলেন অভিভাবকেরা।প্রায়শই এই বিষয় গুলি নিয়ে বিরোধ লেগেই রয়েছে।দিন গোৱাবোৰ সাথে সাথে যে উত্তেজনা এক চরম পর্যায় পৌঁছে যেতে পারে। এবার অগত্যা সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে শেষ পর্যন্ত শুক্রবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অভিভাবকদের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে।তিনি এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘এই সময় স্কুল ফি বাড়ানো উচিত নয়। দয়া করে ফি বাড়াবেন না। হাত জোড় করে সকলকেই অনুরোধ করছি। অতিরিক্ত ফি নেওয়া উচিত নয়। কিন্তু যে টিউশন ফি বছরের প্রথমেই ঠিক করা হয়েছিল, তা নিন। কিন্তু অতিরিক্ত কিছু নেবেন না।’ মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘এই লকডাউনের ফলে কেউ খেলেনি, কেউ কম্পিউটার ক্লাস করেনি। ল্যাবও ব্যবহার করেনি। তাই এই ফি নেওয়া বন্ধ করা হোক। আমার অনুরোধ, সকলে মানবিক হন একটু’। পাশাপাশি, তিনি এও জানান,কোনওরকম ফি দেওয়া হবে না বলেই যদি কেউ দাবি করেন তা সঠিক নয়। কারণ, স্কুল কর্তৃপক্ষকে স্কুলের কর্মী, শিক্ষকদের বেতন দিতে হচ্ছে। রক্ষণাবেক্ষণ করতে হচ্ছে।’

শুধুমাত্র বেসরকারি স্কুল নয়।এদিন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্যে একাধিক সিবিএসসি স্কুল এই কাজ করছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ, দয়া করে হস্তক্ষেপ করুন। এই সময়ে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলে এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। সবদিক দেখে সিদ্ধান্ত নিন।’ বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে ফি বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্য গত কয়েকদিন ধরেই ঝামেলা চরমে পৌঁছে গিয়েছে।অভিভাবকেরা মনে করছেন যে, সরকার এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।